জানা গেছে জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় এখন হলুদ সতর্কতা জারি রয়েছে। তার মধ্যে নৌকা ডুবির ঘটনায় আরও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে শনিবার দুপুরে মাছ ধরতে নৌকা নিয়ে তিস্তা নদীতে যান উত্তর ধর্মপুর দাস পাড়া এলাকার ৩ জন মৎস্যজীবি। সেই সময় কোনও ভাবে তাদের নৌকা উলটে যায়। এরপর দুইজন সাঁতরে নদীপারে এলেও একজন তলিয়ে যায়। ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য তথা তৃনমূলের ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত জানান এখনো নিখোঁজ রয়েছে কমল দাস (২৪) নামে এক যুবক।খবর পেয়ে এলাকায় এসেছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় আছেন সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। তারা এই মুহূর্তে নদীতে খোঁজ চালায়। কিন্তু এখোনও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্দ। আগামীকাল ফের খোঁজ চালানো হবে।
নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানাল রাজ্য সরকার । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতিক্রমে বুধবার রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত , দশমীর বিকেলে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার হাজরা বাড়ির দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডুমনি নদীতে। এলাকার আরো কয়েকটি দুর্গা প্রতিমাও সেইসময় ছিল নদীতে। আরও পড়ুন ঃ পথ দুর্ঘটনা কমাতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচি পালন নদীতে চলছিল শোভাযাত্রা। সেই সময় হঠাৎ করে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে উলটে যায় প্রতিমা ও যাত্রীবোঝাই একটি নৌকা। একই সঙ্গে পাশের নৌকাটিও উলটে যায়। তাতে থাকা যাত্রীরা সাঁতরে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করেন। বেশ কয়েকজন উঠেও পড়েন। সন্ধের পর বোঝা যায় যে ওই নৌকায় থাকা বেশ কয়েকজন নিখোঁজ। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয় নদীতে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রাতে উদ্ধার হয় হাজরা পরিবারের ২ সদস্য-সহ ৫ জনের দেহ।